০১। ভুমিকা :
সভ্যতার ক্রমবিবর্তন ও অগ্রগতির সাথে সাথে প্রশাসন ব্যাবস্থায় বৈজ্ঞানিক ক্রমবিকাশ ও অগ্রগতি সাধিত হয়। আর এই জন্য প্রয়োজন তথ্য প্রযুক্তির অবাধ সরবরাহ। এই লক্ষকে সামনে রেখে তৃণমুল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাবহারকে মানুষের দোড় গোড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্নমন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বর্তমান সরকার সারা দেশে ৪৫,০০ এর বেশি তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপিত করেছেন ।এই সব তথ্য সেবা কেন্দ্র হতে অতি সহজে জনগন তাদের প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে।এখন জনগনকে আর ফটোকপি, ছবি তোলা, কম্পোজ বিভিন্ন দেশ-বিদেশে ইমেল করার জন্য শহরে যেতে হচ্ছে না। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র হতে স্বল্প মুল্যে ঐ সমস্ত সেবা পাচ্ছে, যাহা জনগনের সময় ও টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। শুধু জনগনের সুবিধা হচ্ছে না সেই সাথে সারা বাংলাদেশে ৯০০০ এর অধিক ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানেরর সৃষ্টি হয়েছে যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
ইহা ছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ের একসেস টুইনফরমেশন প্রোগ্রামের উদ্যোগেজাতীয় ই-তথ্য কোষ উদ্ভাবন করা হয়েছেএবং ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে।ইহা একটি বিরাট তথ্য ভান্ডার । এই তথ্য ভান্ডার হতে জনগন সরাসরি পরামর্শ ও সহোযোগিতা পেতে পারে । যাহা ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র হতে বিনামুল্যে মানুষের জীবন-জীবিকার তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। জীবন-জীবিকা ভিত্তিক বিভিন্ন তথ্য যেমন: ১.কৃষি ২. স্বাস্থ্য ৩.শিক্ষা ৪. আইন ও মানবাধিকার ৫.দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা ৬. অকৃষি উদ্যোগ ৭.পযর্টন ৮. কর্মসংস্থান ইত্যাদি তথ্য কোষে সংযুক্ত করা হয়েছেএবংতথ্যগুলোঅডিও, ভিডিও,এনিমেশন, তথ্যচিত্র বা লিখিত আকারেসাধারণ জনগনের সামনে তুলে ধরাইএর মূল উদ্দেশ্য।জাতীয় ই-তথ্য কোষটিতে তথ্যঅনলাইন ও অফলাইন দু’টি ভার্সনে পাওয়াযাবে।অফলাইন ভার্সন ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে দেয়া হবে।প্রতি ৩ (তিন)মাস অন্তর অন্তর অফলাইন ভার্সনের তথ্য হালনাগাদ ও সমৃদ্ধ করা হবে।অপরদিকেঅনলাইন ভার্সন সবার জন্যউম্মুক্ত থাকবে। দুটি উপায়ে কাঙ্খিত তথ্য জাতীয় ই-তথ্য কোষ হতে খুঁজে পাওয়া যাবে:
০২। কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র :
কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রটির কার্যক্রম ৩০-১১-২০১০ ইং তারিখ হতে শুরু হয়েছে। অদ্যবধি কেন্দ্রটি ব্যাবস্থাপনা কমিটির সার্বিক সহোযোগিতায় ২ জন উদ্যোক্তার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
সফলতা :
১। দুই (২) জন উদ্যোক্তার কর্মসংস্থান সৃষ্টি ।
২। তথ্য সেবারমাধ্যমে ১০০% জন্মনিবন্ধন করা ।
৩। তথ্য-ই-কোষের মাধ্যমে জনগনকে সচেতনতা করা ।
ছবি